1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর পত্নীতলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০৯:৩৬:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৩ ০৯:৩৬:২৫ অপরাহ্ন
নওগাঁর পত্নীতলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা

পত্নিতলা (নওগাঁ): নবান্ন উৎসব বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওতোপ্রোতো ভাবে মিশে আছে। নতুন ধান উঠলেই ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে উৎসব মুখর ভাবে উদযাপন হয় এই নবান্ন উৎসব। নতুন আমণ ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।

সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর পরই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবং সে উপলক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলে বসে গ্রামীণ মেলা। এর ধারাবাহিকতায় শত বছরের বেশী সময় ধরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের পাশে পদ্ম পুকুর গ্রামের পাশে স্কুল মাঠে হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এ মেলা। প্রতিবছরের কার্তিক সংক্রান্তিতে ও ইংরেজি মাসের ১৭ নভেম্বরে বসে এই মেলা।

নবান্নের এই মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ মানুষের মধ্য এক অন্য রকম উৎসব আমেজে মুখোর হয়ে ওঠেছে আসপাশের ১০/১২ টি গ্রাম। বাড়িতে বাড়িতে শীতের পিঠা পুলি, নতুন ধান থেকে পাওয়া চালের পায়েশ, ক্ষীর ক্ষিরসা রান্না করা হয়। কৃষক পরিবারের প্রয়োজনিয় ধানচালা কুলা, চালুনি, ডালা ইত্যাদি ক্রয় হয় তাদের। এদিকে গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতেই জামাই মেয়েসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন আসে , চলে খাওয়া দাওয়ার ধুমও। এক দিনের এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানীরা আগের দিন এসে দোকানে মিষ্টি, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী নকশি পাতিল, মাটির ব্যাংক, পুতুল, কাঠের তৈরী ফার্নিচার, কসমেটিক, খেলনা, বাশি, বেলুন, ঘুর্নি, লোহার তৈরী হাঁসুয়া বটি, চাকু, কাগজের ফুল নানা রকম মুখরোচক খাবারেরর দোকান দিয়ে নানান জিনিসপত্রের পশরা সাজিয়ে বসেন।

চন্দনা রানী পাল নামের এক নারী দোকানি জানান, অনেক বছর ধরে এই পদ্মপুকুর নবান্নের মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করে আসছি। আগে আমার বাবা দাদু ও পূর্ব পুরুষরা মাটির তৈরী হাড়ি, পাতিল, ঢাকনা, প্রদীপ দেওয়া ছোট বাটি, ধুপ জালানো ধুপতীসহ নানা রকম মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করি আমরা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আপেল মাহমুদ জানান, আসলে এই মেলা কবে থেকে শুরু হয়েছে তা সঠিক বলা মুসকিল তবে বাবা দাদার হাত ধরে খুব ছোট থেকে এ মেলায় আসছি। বছরের এই এক দিনের জন্য নবান্নের মেলা হয়।

মেলাতে এই এলাকার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা আসেন। এখানে সারা বছরের সংসারের প্রয়োজনীয় নানা রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। মানুষেরা এগুলো কিনে সারাবছরই ব্যবহার করে থাকেন। মেলার এক পাশে চলে ‘বউ মেলা’। বউ মেলায় বিশেষ করে নারীদের কসমেটিক দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভীড়। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত নারীদের বউ মেলায় আগমন ঘটে। মেলা কমিটির সভাপতি শ্রী মনজ কুমার জানান, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এ মেলা হয়ে আসছে। মূলত নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা এই মেলার আয়োজন করে থাকি। তবে এ দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা সংক্রান্তী উপলক্ষে কালি পুজা অর্চনা করেন এখানে। ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ছোট-বড় মানুষ আসেন এ মেলায়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ